প্রকাশিত: ১৩/০৫/২০১৮ ২:২৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০১ এএম
উদ্ধারকৃত ইয়াবা দেখছেন বিজিবি

ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ঢুকছে। মিয়ানমারের যে সৈন্যরা রোহিঙ্গাদের তাদের বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল, তারাই রোহিঙ্গাদের মাদকের সর্বনাশা বাহকে পরিণত করছে।

এই ছোট্ট লাল ট্যাবলেটগুলো কয়েক দশক ধরেই মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকছিল, কিন্তু এখন তা প্রবলভাবে প্রবেশ করছে। আর মাদক ব্যবসা থেকে পাওয়া কাঁচা টাকা নতুন জটিলতার সৃষ্টি করেছে।

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এক নেতা আবদুস সালাম বলেন, অনেক তরুণ এখন মাদক ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে গেছে। উদ্বাস্তুদের এ কাজে ব্যবহার করা খুবই সহজ।

গত আগস্ট থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ে জড়িত থাকার অভিযোগ শতাধিক রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে ইয়াবা আটকের ঘটনা বিপুলভাবে বাড়ছে।

গত ১৫ মার্চ কক্সবাজার থেকে ১৮ লাখ ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এর কয়েক দিন পর কয়েকটি নৌকায় ৯ লাখ ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

এগুলো ছোট বিষয়। চলতি বছর ২৫ থেকে ৩০ কোটি ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে।

যে বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাদের ভিটামাটি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, তারা কিন্তু ইয়াবা ব্যবসায় আপত্তি দেখছে না। এই ব্যবসায় বৌদ্ধ মুসলিম তাদের কাছে কোনো বিষয় নয়। তারা বরং এতে লাভবান হচ্ছে।

বাংলাদেশে ইয়াবার চালানগুলো আসে মূলত নাফ নদী দিয়ে। গত বছর এই নদী দিয়েই প্রাণ নিয়ে বাঁচতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকেছিল। এখন এই নদীপথে আসছে ইয়াবা।

নানাভাবে তারা এই নেশার উপাদানটি পাচার করে যাচ্ছে। তল্লাশি চালালেই ধরা পড়ছে আসামিরা।

মিয়ানমারের সৈন্যরা পর্যন্ত ইয়াবা ব্যবসায়ে জড়িত হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গা বিতাড়নের উত্তপ্ত সময়ও তাদের অনেকে মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকতে দেখা গিয়েছিল। এ অপরাধে তাদের অনেককে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছিল।

এদিকে সব খুইয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা একটি ভালো থাকার জন্যও এই ব্যবসায়ে ঝুঁকে পড়ছে। এই ব্যবসা থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে তাদের অনেকে পরিবার নিয়ে ভালো থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারছে বলেও মনে করছে।

পাঠকের মতামত